• ২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১০ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৪শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

কেন্দ্রের শোকজ : জবাব দিলেন সিলেট বিএনপির ৪ শীর্ষ নেতা

Daily Jugabheri
প্রকাশিত জানুয়ারি ২৩, ২০২৫
কেন্দ্রের শোকজ : জবাব দিলেন সিলেট বিএনপির ৪ শীর্ষ নেতা

সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপিপন্থীদের বিপর্যয়ে দলের স্থানীয় শীর্ষ চার নেতাকে দেওয়া হয়েছিলো শোকজ। সেই কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দিয়েছেন তারা। বুধবার (২২ জানুয়ারি) এ জবাব দেওয়া হয়েছে। জবাবে নিজেদের অবস্থান স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করেছেন বলে  জানিয়েছেন জেলা ও মহানগরের শীর্ষ দুই নেতা।

 

এর আগে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিএনপির সিলেট জেলা ও মহানগরের শীর্ষ চার নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি। ওই দিন বিকেলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা নোটিশটি তাঁদের কাছে পৌঁছে।

নোটিশ পাওয়া ও জবাব দেওয়া নেতারা হলেন- জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েছ লোদী, জেলার সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমেদ চৌধুরী ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী।

 

নোটিশে বিএনপির শীর্ষ চার নেতাকে বলা হয়- সম্প্রতি সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী প্যানেলকে বিজয়ী করার জন্য জেলা বা মহানগর বিএনপি যথাযথ উদ্যোগ নেয়নি। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উদাসীন ও নির্বিকার ভূমিকার জন্য নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী প্যানেলের বিপর্যয় ঘটে।

দায়িত্বহীনতার কারণে সিলেট বিএনপির চার শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- সে বিষয়ে একটি লিখিত জবাব দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এ জবাব জমা দিতে নির্দেশ প্রদান করা হয়।

নির্দেশিত সময়ের মধ্যেই এ ৪ নেতা জবাব দিয়ে দিয়েছেন বলে  জানান।

জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বলেন- ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পক্ষ থেকে জবাব দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের নোটিশের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। দলের স্বার্থে যে কোনো সময় যে কাউকে শোকজ করতে পারে কেন্দ্র। আমরা আমাদের অবস্থান তুলে ধরে ব্যাখ্যামূলক জবাব দিয়েছি।’

তিনি বলেন- ‘এটি সত্যি যে, স্বৈরাশাসক পতনের ৫ মাসের মাথায় তাদের দোসররা কীভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশাজীবি সংগঠনের নির্বাচনে জয়ী হলো; এটি খতিয়ে দেখতে হবে এবং আগামীতে যাতে এমন না ঘটে এ বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’

মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েছ লোদী  বলেন- ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মহানগরের পক্ষ থেকেও জবাব দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের নোটিশের শ্রদ্ধা থেকেই বলছি- এটি একটি বেদনায়ক ঘটনা। এ নির্বাচনে আওয়ামী পন্থীদের বিজয় প্রমাণ করে- স্বৈরশাসকদের দোসররা এখনো সিলেটে তৎপর। বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে হবে এবং গ্যাপ খুঁজে বের করতে হবে। কেন্দ্র ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

এদিকে, আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপিপন্থীদের বিপর্যয়ের পর রোববার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মো. জিয়াউর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে ফোরামের সিলেটের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এ ছাড়া বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানে সংগঠনটি ওই দিনই ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে।

কমিটিকে সরেজমিন অনুসন্ধান ও ফোরামের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ১৬ জানুয়ারি সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ২৬টি পদের মধ্যে সভাপতি-সম্পাদকসহ ১২টিতে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা জয় পেয়েছেন। এ ছাড়া বিএনপিপন্থী ছয়জন ও জামায়াতপন্থী পাঁচজন জয় পেয়েছেন। বাকিরা অন্যান্য দলের।

সংবাদটি শেয়ার করুন