সিলেটে মাজার নিয়ে এক পুলিশ সদস্য ‘আপত্তিকর মন্তব্য’ করায় চার পুলিশ সদস্যকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। পরে পুলিশ ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
আজ শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাত আটটার দিকে হযরত শাহজালাল (রহ) মাজারে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, ঐ পুলিশ সদস্য ট্যাুরিস্ট পুলিশে কর্মরত রয়েছেন। তবে তাৎক্ষনিকভাবে তার নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
উপস্থিত জনতার বরাত দিয়ে সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী জানান, আজ শুক্রবার রাতে হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজারের গেটে দায়িত্বরত ট্যুরিস্ট পুলিশের এক কনস্টেবল অপর পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে মাজার ও ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এসময় পাশে থাকা একজন ব্যক্তি তার প্রতিবাদ করেন। পরে স্থানীয় লোকজন ও শাহজালাল মাজার সংলগ্ন দরগাহ মাদরাসার শিক্ষার্থীরা এসে জড়ো হয়ে উপস্থিত ঐ চার পুলিশ সদস্যকে আটকে রাখে। খবর পেয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের উধ্বর্তন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসলে আমি উপস্থিত জনতাকে শান্ত থাকার আহবান জানাই। তাৎক্ষনিকভাবে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যসহ বাকিদের উদ্ধার করে পুলিশ।
কয়েস লোদী বলেন, এ ঘটনায় মাজারে থাকা কিছু অতি উৎসাহি জনতা পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমাদের তৎপরতার কারণে তা হয়নি। সবাইকে শান্ত থাকতে হবে কারণ এটা একটা ধর্মীয় ইস্যু। এখানে বাড়াবাড়ি করা ঠিক হবে না। দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, পুলিশ ও মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদীসহ বিএনপির নেতৃবৃন্দ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছেন। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। যদি ঐ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য হয় তাহলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।