‘গণঅভ্যুত্থানে জুলুমতন্ত্রের অবসান হলেও সুযোগের অপেক্ষায় ওঁৎ পেতে আছে স্বৈরাচারের প্রেতাত্মরা। দেশে আবার যাতে ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিতে না পারে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। বন্ধ করতে হবে তাদের ফিরে আসার সকল চোরাপথ। এজন্য সংবিধান পরিবর্তনসহ সাংবিধানিক সকল প্রতিষ্ঠানকে গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় সংস্কার করতে হবে।’
নাগরিক আলেমসমাজের ‘শহীদি মার্চ’ পূর্ব সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায়
সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, পিলখানায় সেনাহত্যা, শাপলায় আলেমহত্যা ও জুলাই গণহত্যা স্বৈরাচারী সরকারের দুঃশাসনের কালো দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। এছাড়া মানুষের ভোটাধিকার হরণ, গুম-খুন, দুর্নীতি-লুটপাটের মাধ্যমে দেশকে জাহান্নামে পরিণত করে রেখেছিলো আওয়ামী লীগ সরকার। সবগুলো অপরাধের জন্য দায়ীদেরসহ দলগতভাবে আওয়ামী লীগকে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি ওঠে সমাবেশে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- নাগরিক আলেমসমাজের প্রধান সমন্বয়ক লেখক ও সাংবাদিক নোমান বিন আরমান, মিশন ওয়ান মিলিয়নের প্রধান নির্বাহী ফায়যুর রাহমান, লেখক কবির আহমদ খান, সমন্বয়ক আদিব আহমদ, লেখক নাওয়াজ মারজান, লেখক হুসাইন ফাহিম, শাবি শিক্ষার্থী তাহসান ইসলাম চৌধরী ও নূর আহমদ প্রমূখ। শুরুতে জাগরণী সংগীত পরিবেশন করে শিশুশিল্পী সাফওয়ান মুহাম্মাদ সাবিল।
সমাবেশ থেকে পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো- জুলাই-আগস্টে আহত-নিহতদের পুঙ্খানুপুঙ্খ তালিকা প্রকাশ, শহিদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা, পরিবারকে পুরস্কার ও ভাতা প্রদান, আহতদের সম্পূর্ণ ফ্রি চিকিৎসাসেবা ও ইতোমধ্যে ব্যয় হওয়া সমূহ চিকিৎসা খরচ প্রদান এবং তাদের পুনর্বাসন ও সরকারী চাকুরীর ব্যবস্থা করা।
প্রসঙ্গত, ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা। এরমাধ্যমে অবসান হয় টানা সাড়ে পনেরো বছরের আওয়ামী দুঃশাসনের। ৫ সেপ্টেম্বর স্বৈরাচার পতনের মাসপূর্তি উদযাপন ও আত্মদানকারী বীরদের স্মরণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘোষিত শহীদি মার্চ কর্মসূচিতে একাত্মতা ঘোষণা করে সেটি পালন করে নাগরিক আলেমসমাজ।