২০ শে নভেম্বর শুক্রবার সিলেট বিভাগের প্রথম শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ তথা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সিলেট নগরীর শাহজালাল উপশহরস্থ জালালাবাদ টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ২০ তম ব্যাচের বি. এড. ডিগ্রী অর্জনের সাময়িক সনদপত্র প্রদান উপলক্ষে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কলেজ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অত্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ হাসমত উল্লাহ। তিনি তাঁর বক্তব্যে কলেজের ২০ তম ব্যাচের প্রশিক্ষাণর্থীদের শতভাগ সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হওয়ায় সাবাইকে অভিনন্দন জানান। আশানুরূপ এ ফলাফল অর্জনের জন্য প্রশিক্ষণ প্রহণকারী ও প্রশিক্ষকবৃন্দকে তিনি কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানান। অধ্যক্ষ ড. মোঃ হাসমত উল্লাহ তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, সিলেট বিভাগসহ সারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এ কলেজে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে বি.এড. ডিগ্রীধারীরা স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কৃতিত্ব ও সুনামের সাথে শিক্ষকতা করে আসছেন। উক্ত বি.এড. ডিগ্রীধারীদের অনেকেই হাই স্কুল, মাদ্রাসা প্রধান ও সহকারী প্রধান হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। শুধু তাই নয়, শিক্ষকতার পেশাদার প্রশিক্ষনে এ টি.টি. কলেজের বি.এড. ডিগ্রীধারীদের অনেকে মাস্টার ট্রেনারও নিযুক্ত হয়ে শিক্ষকদের বিষয় ভিত্তিক স্বল্প মেয়াদী প্রশিক্ষণ কার্যক্রমও পরিচালনারত আছেন।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর উদ্ধৃতি দিয়ে প্রফেসর ড. মোঃ হাসমত উল্লাহ বলেন যে, তিনি (মহানবী) নিশ্চয়ই শিক্ষক হিসেবে প্রেরিত হয়েছিলেন। নবী রাসুলগণ সমাজ সংশোধন ও পরিগঠনের দায়িত্ব পালন করেছেন । অতএব তাদের অনুসারী হিসেবে শিক্ষকগণও সমাজ সংশোধন ও পরিগঠনের অগ্রদূত। শিক্ষকগণ জাতির ভবিষ্যত ও মানুষ গড়ার কারিগর বিধায় তাঁদের সর্বগুনে গুনান্বিত, উদার ও নৈতিকতার ক্ষেত্রে উন্নত ও অনুকরণীয় হিসেবে জীবন যাপন বদ্ধপরিকর থাকতে হবে। এ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কলেজের প্রশিক্ষকবৃন্দের পক্ষ থেকে সর্বজনাব সহকারী অধ্যাপকবৃন্দ মোঃ আব্দুস শাকুর , সুলায়মান চৌধুরী ও মোঃ আব্দুর রাজ্জাক ।
২০তম ব্যাচের বি. এড. ডিগ্র অর্জনকারী জনাব শামছুদ্দোহার পেশকৃত অর্থসহ কোরআন তেলাওতের মাধ্যমে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানে সনদ গ্রহণকারীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন হাবিবুর রহমান ও কাজী হাবিবুর রহমানসহ আরোও অনেকে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি