যুগভেরী ডেস্ক ::::
বার্সেলোনায় সব সমস্যার মূলে যেন লিওনেল মেসি। দলে নতুন আসা কেউ মানিয়ে নিতে না পারার দোষটাও গিয়ে পড়ে বার্সেলোনা অধিনায়কের ঘাড়ে। বছরের পর বছর ধরে এসব শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
বার্সেলোনায় সংগ্রাম করছেন অঁতোয়ান গ্রিজমান। তার পক্ষ নিয়ে কদিন আগে মেসিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন ফরাসি ফরোয়ার্ডের সাবেক এজেন্ট। এরিক ওলহাতসের দাবি, কাম্প নউয়ে চলে মেসির ‘ত্রাসের রাজত্ব’। তিনিই নাকি গত বছর আতলেতিকো মাদ্রিদ থেকে আসা গ্রিজমানের কাম্প নউয়ে মানিয়ে নেওয়ার কাজ কঠিন করে তুলেছেন।
এমনিতেই এমন সব সমালোচনায় জেরবার মেসি। অন্যদিকে, দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলে ১৫ ঘণ্টার দীর্ঘ যাত্রা শেষে স্পেন ফিরে বিমানবন্দরে পড়েন কর কর্মকর্তাদের জেরার মুখে। সব মিলিয়ে হতাশা, ক্ষোভ ফুটে ওঠে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের কণ্ঠে।
“ক্লাবে সব সমস্যার কারণ আমি, এটা শুনতে শুনতে আমি ক্লান্ত।”
চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছর আগেই গত মৌসুমে ক্লাব ছাড়তে চেয়েছিলেন মেসি। প্রিয় ক্লাবের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে যেতে চান না জানিয়ে অনিচ্ছা সত্ত্বেও থেকে যান কাম্প নউয়ের দলে।
গত এক যুগে প্রথম ট্রফিশূন্য মৌসুম কাটানোর পর থেকে অস্থির সময় পার করছে বার্সেলোনা। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে তৈরি হওয়া আর্থিক সংকটের মুখে কিছু সিনিয়র খেলোয়াড় ছেড়ে দেওয়া, কোচ বদল, চাপের মুখে সভাপতি জোজেপ মারিয়া বার্তোমেউয়ের পদত্যাগ- সবকিছু মিলে সময়টা ভালো যাচ্ছে না স্প্যানিশ দলটির।
এসবের মাঝে বিমানবন্দরে তার জন্য কর কর্মকর্তাদের অপেক্ষা ভালোভাবে নেননি মেসি।
“১৫ ঘণ্টা বিমান ভ্রমণ শেষে, দেখি কর কর্তৃপক্ষ আমার অপেক্ষা করছে। এটা পাগলামো, বিরক্তিকর।”
২০১৬ সালে কর ফাঁকির অভিযোগে মেসিকে ২১ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিল স্পেনের একটি আদালত, জরিমানা করা হয়েছিল ২০ লাখ ইউরো। ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রায় প্রায় ৪১ লাখ ইউরো কর ফাঁকির অভিযোগে পেয়েছিলেন এই শাস্তি।
তবে স্পেনে সহিংস অপরাধ না করলে দুই বছরের নিচে সাজার ক্ষেত্রে কারাবাস হয় না। এজন্য দুই লাখ ৫০ হাজার ইউরো জরিমানা দিয়ে এড়িয়েছিলেন কারাবাস।