জৈন্তাপুর প্রতিনিধি ::
সিলেটের জৈন্তাপুরে এক ছাত্রদল নেতার বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে রবিবার (২১ জুলাই) এ হামলা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয়রা। ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্রদল নেতার নাম উসমান আলী নাইম(২০)। তিনি উপজেলার ৪নং দরবস্ত ইউনিয়নের সেনগ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে ও জৈন্তাপুর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদল নেতা। তিনি বর্তমানে প্রবাসে রয়েছেন।
এদিকে, নাইমের অবর্তমানেও তার বাড়িতে এমন ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে উপজেলা বিএনপি। উপজেলা বিএনপি সভাপতি এনায়েত উল্ল্যাহ ও জৈন্তাপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহব্বায়ক বদরুল আলম শাওয়ন বলছেন, নাইমকে না পেয়ে তার পরিবারের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। তার বাড়ি ঘরে এমনভাবে ভাংচুর করা হয়েছে যে দেখলে মনে হবে কেউ ভুল্ডোজার দিয়ে ভেঙেছে। তাছাড়া, পরিবারের নিরিহ সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ অর্থসহ মূল্যবান সব জিনিসপত্র লুট করে নিয়েছে। এ অবস্থায় নাইমের পরিবার সম্পূর্ণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
উপজেলা নেতৃবৃন্দ বলছেন, তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নাইমের পরিবার ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছেন। স্থানীয়রা তাদের জানিয়েছেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও মাদক বিরুধি এবং চোরাচালান নিয়ে সরব ভূমিকা পালন করার জন্য প্রতিহিংসার বশিভূত হয়ে চিকনাগুল ইউপির ৪নং দরবস্ত ইউনিয়নের দরবস্ত গ্রামের গোলাম শহিদ এর ছেলে যুবলীগ নেতা মাদক সম্রাট জসিম(৩৪) ও তার সহযোগী ক্যাডার দরবস্ত গ্রামের ছাত্রলীগের নেতা জয়নাল আবেদিনের ছেলে পারভেজ (২৮) ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সেনগ্রামের হরমুজ আলীর ছেলে হানিফ মিয়ার(৩৭) নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এসময় তার সাথে ছিলেন দরবস্ত ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা ও ফান্দু গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে রিমন আহমদ(২৬), ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা ও কাঞ্জর গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের ছেলে এনাম আহমদ(২৮), ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা ও সেনগ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে আবিদ হোসেন(২২)সহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী। তারা পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘরে ব্যাপক লুটপাট চালিয়েছে। এরপর বড় হাতুড়ি দিয়ে আধাপাকা টিনশেড ঘরটি ভেঙে দিয়েছে। উঠানের অন্যপাশে থাকা টিনের ঘরটিও গুড়িয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এসময় প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাদের হাতে গুরুতর আহত হয়েছেন নাইমের মা ও ভাই। তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে নাইমের পরিবার।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাঃ তাজুল ইসলাম পিপিএম। তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নাইমের মা ফরিদা বেগম ও তার ভাই গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আজ বা কাল মামলা হতে পারে। মামলা হলেই আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।