শাল্লা (সুনামগঞ্জ) থেকে নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ভোলানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাজিব চৌধুরীর অকাল মৃত্যুতে শাল্লার প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের উদ্দ্যোগে মানববন্ধন ও শোক সভা পালন করা হয়েছে।
১২ নভেম্বর মঙ্গলবার শাল্লা উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে চব্বিশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও বাহাড়া মধ্যের হাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক চম্পা রাণি তালুকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শোক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস সালাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা তাপস কুমার রায়, আবু রায়হান, শাল্লা সরকারি ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যাপক তরুণ কান্তি দাস ।
এছাড়া সভায় শিক্ষক স্বদেশ তালুকদার, সুব্রত কুমার দাস সহ অন্যান্য শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন রাজীব চৌধুরী সুনামগঞ্জ পিটিআইয়ে প্রশিক্ষণে ছিল। গত ৬ নভেম্বর রাত ৮টা ২১ মিনিটে পিটি আই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে রাস্তায় একটি অটোর ধাক্কায় গুরুতর আহত হন তিনি।
পরে আত্মীয় স্বজন সংবাদ পেয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে সিলেট তারপর মেট্রোপলিটন হসপিটাল ঢাকায় নিয়ে যান।
৮ নভেম্বর রাত ১১টা৪৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে মারা যান।
শিক্ষক রাজিব চৌধুরীর স্বাভাবিক কোন এক্সিডেন্ট হয়নাই, তাকে হত্যা করা হয়েছে, উল্লেখ করে প্রশাসনের নিকট শাল্লা প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের পক্ষ থেকে ঘাতক ড্রাইভার হুমায়ূন কে দ্রুত আইনের আওতায় এনে মানববন্ধন কারি নেতৃবৃন্দ দৃষ্টান্তমূলক বিচাররে দাবি করে মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট রাজিবের আত্মার শান্তি কামনা ও শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান ।
উল্লেখ্য গত ১০ নভেম্বর রাজিব হত্যার প্রতিবাদ ও গ্রেপ্তারের দাবিতে পিটিআই সুনামগঞ্জের আয়োজনে মানববন্ধনে সুনামগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার।
এক পর্যায়ে সেনা বাহিনীর ও পুলিশ প্রশাসনের আশ্বাসের পর কর্মসূচী স্থগিত করেন।
এক মাত্র ছেলেকে হারিয়ে পিতা মাতা ও পরিবারে সদস্যরা শোকে মাতম, কে দিবে তাদের প্রাণের ধন , বাচা রাজিব কে ফিরিয়ে!!