কানাইঘাট প্রতিনিধি :::
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী ও মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে ঐতিহ্যবাহী কানাইঘাট প্রেসক্লাব। স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহরে কানাইঘাট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তপক অর্পন করেন প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ। এরপর সকাল ৮টায় প্রেসক্লাব কার্যালয়ে আনুষ্টানিক ভাবে জাতীয় ও প্রেসক্লাবের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এছাড়া প্রেসক্লাব কার্যালয় আলোক সজ্জা করণ করা হয়। স্বাধীনতা দিবসে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন অনুষ্টানে যোগদান পরবর্তী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মোমিন চৌধুরী, নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি ও থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম পিপিএমের হাত থেকে উপজেলা প্রশাসনের দেওয়া সম্মাননা বিজয় স্মারক গ্রহণ করেন প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ। বিকেল ৩টায় ক্লাব কার্যালয়ে স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী ও মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ক্লাব সভাপতি রোটারিয়ান শাহজাহান সেলিম বুলবুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় ৫০ বছরে বাংলাদেশের বিভিন্ন অগ্রগতি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আব্দুন নুর, সহ-সম্পাদক মাহবুবুর রশিদ, দপ্তর সম্পাদক মুমিন রশিদ, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহীন আহমদ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সহযোগি সদস্য মাহফুজ সিদ্দিকি, সাংবাদিক জয়নাল আজাদ, সংবাদকর্মী আব্দুল কাহির। আলোচনা সভায় প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ বলেন ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে সাংবাদিকদের গৌরব উজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। তৎকালীন পাকিস্থান শাসকগোষ্ঠী বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ধমিয়ে রাখার জন্য সংবাদপত্রের উপর অঘোষিত ভাবে সেন্সরশীপ আরোপ করেছিল। কিন্তু সাংবাদিকরা পাকিস্থানী শাসক গোষ্ঠীর নির্যাতন-নিপীড়ন, গণহত্যার বিরুদ্ধে এবং স্বাধীনতার পক্ষে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে জনমত তৈরি করেছিলেন, বিধায় ৯মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে স্বাধীন করতে পেরেছিলাম। দেশ যখন সব দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে টিক সেই সময় আমরা স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি। দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিকে আরো এগিয়ে নিতে এবং মানুষের অধিকার আদায়ে সাংবাদিকদের দেশপ্রেমে উদ্বোদ্ধ হয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনের আহবান জানান প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ।