
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :::
বৃক্ষ রোপনে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার “ঞ” শ্রেণীর তৃতীয় পুরস্কারের জন্য মনোনীত শ্রীমঙ্গলের হৃদয় দেবনাথের বিরুদ্ধে পরিবেশ বিধ্বংসী বিভিন্ন অভেযোগ এনে প্রধানমন্ত্রী এবং বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছে লাউয়াছড়া বন ও জীববৈচিত্র রক্ষা আন্দোলন নামে একটি পরিবেশবাদী সংগঠন।
বুধবার দুপুরে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ স্মারকলিপি ও সাথে পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মাকান্ডে জড়িত থাকার ভিডিও ডকুমেন্টের ডিভিডি কপি তুলে দেন সংগঠনটির সদস্যরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের আহ্বায়ক ও দ্বারিকাপাল মহিলা কলেজের প্রভাষক জলি পাল, যুগ্ম সদস্য সচিব প্রীতম দাশ, বৃহত্তর সিলেট ত্রিপুরা উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি জনক দেববর্মা, সাধারণ সম্পাদক সুমন দেববর্মা, শিক্ষিকা রহিমা বেগমসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
স্মারকলিপি প্রদানকালে সংগঠনের যুগ্ন সদ্স্যি সচিব প্রিতম দাশ বলেন, যিনি লাউয়াছড়া বনে প্রাণীকুলের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করে প্রকাশে ডিজে পার্টিতে অংশনেন। বনে আগুন জ্বালিয়ে রান্না করে তিনি বনে বসেই সেই খাবার খান। ওইদিন লোকজনকে নিয়ে খবার খেয়ে বনে বর্জ ফেলে আসেন, যা প্রাণীকুলের জন্য হুমকি স্বরুপ। এই লোক জীববৈচিত্র সংরক্ষনে কিভাবে মনোনিত হন। হৃদয় দেবনাথ প্রাণী বা বৃক্ষপ্রেমি নন। বরং এ অঞ্চলের মানুষ তাকে চাঁদাবাজ, ধর্ষণ মামলার আসামী হিসেবে জানে। এছাড়া লাউয়াছড়া বনে আগুন জ¦ালানো, ডিজে পার্টিতে নৃত্য করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারও করে। এমন ব্যক্তিকে বৃক্ষ রোপনে প্রধানমন্ত্রীর পুরষ্কার প্রদান করলে তা পুরষ্কারের মর্যদা হানী হবে’। স্মারকলিপিতে হৃদয় দেব নাথের মনোনয়নেরর বিষয়টি পূর্নবিচেনার অনুরোধ জানানো হয়।
প্রভাষক জলি পাল বলেন, এই পুরষ্কারের সাথে দেশের ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদা জড়িত। কোন মাদকসেবী, নারী ধর্ষনে অভিযুক্ত এই পুরষ্কার পেতে পারে না। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষন করতে এই স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, স্মারকলিপিটি গ্রহন করেছি। এটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।