দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার ইউনিয়নের হকিয়ারচরে মসজিদের ইমামকে মারধর করে মসজিদের ক্ষতিসাধনের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গ্রামের এক ব্যক্তি মসজিদের ইমামকে মারধর করে জোরপূর্বক বের করে দিয়ে মসজিদে তালা ঝুলিয়ে দেয়। গত ২২ অক্টোবর বেলা আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অবশ্য, মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মসজিদের ইমামের কাছ থেকে এক ব্যক্তি মসজিদের চাবি ছিনিয়ে নিয়ে গেলেও পরবর্তীতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের তত্ববধানে সাময়িকভাবে মসজিদে নতুন একজন ইমামের মাধ্যমে নামাজ আদায় অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় দক্ষিণ সুরমা থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন হকিয়ারচর জামে মসজিদের মোতায়াল্লি, হকিয়ারচর গ্রামের মৃত ওয়াহাব মিয়ার পুত্র নূর মিয়া (দক্ষিণ সুরমা জি.আর মামলা নং- ২৮৭/২০২১ ইং)। মামলার বিবরণে জানা যায়, দক্ষিণ সুরমা থানাধীন হকিয়ারচর সাকিনস্থ হকিয়ারচর জামে মসজিদে দীর্ঘদিন যাবত মোতওয়াল্লি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন হকিয়ারচর গ্রামের মৃত ওয়াহাব মিয়ার পুত্র নূর মিয়া (৫৯)। একই এলাকার মামলার আসামীরা দীর্ঘদিন যাবত মসজিদের জায়গা-জমি দখল করার পায়তারায় করছে। তাদের অত্যাচার ও হুমকীতে অতিষ্ট এলাকার নিরীহ জনসাধারণ। ঘটনার দিন অর্থাৎ গত ২২ অক্টোবর দুপুর আড়াইটার দিকে মামলার ১নং আসামীর নেতৃত্বে অন্যান্য আসামীরা দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে জোর পূর্বক মসজিদের ইমামের কক্ষে প্রবেশ করে মসজিদের ইমামকে মারধর করে জোরপূর্বক মসজিদ থেকে বের করে দিয়ে মসজিদে তালা ঝুলিয়ে দেয়। ১নং আসামী আসামী ইমাম সাহেবের কাছ থেকে মসজিদের চাবি ছিনিয়ে নেয়। আসামীরা মসজিদের মিনারের খুঁটি ভেঙ্গে ফেলে আনুমানিক ৩০ হাজার টাকার ও মসজিদের সামনে লাগানো বিভিন্ন ফসলী গাছপালা কেটে আনুমানিক ২০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে। ইমাম সাহেবের আর্ত চিৎকার শুনে বাদী মোতাওয়াল্লিসহ গ্রামের লোকজন ছুটে আসলে আসামীরা পালিয়ে যায়।
মোতাওয়াল্লিসহ গ্রামাবাসী ইমাম সাহেবকে নিয়ে স্থানীয় ফার্মেসীতে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করান। পরবর্তীতে মোতাওয়াল্লি নুর মিয়া বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা দায়ের করেন। খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ লোকমান হোসাইন মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আসামীপক্ষ মসজিদের ইমামের কাছ থেকে চাবি ছিনিয়ে নিলে পরবর্তীতে চাবিটি উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে মসজিদে অন্য একজন ইমামের তত্বাবধানে নামাজ পরিচালিত হচ্ছে। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি।