২০ বছরে ও ব্রীজ নির্মাণ করতে পারেনি পৌরসভা
৫ গ্রামবাসীর চরম দুর্ভোগ
মোঃ আলাল মিয়া,নবীগঞ্জ থেকে :
দিনের বেলা যেখানে সময় লাগার কথা ৫ মিনিট সেখানে ব্রীজ না থাকায় ঘুরতে হয় প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক। রাতের বেলা শ্বাসকষ্টজনিত বৃদ্ধ ব্যক্তিদের নিয়ে হাসপাতালে যেতে যানবাহন না পেলে এই ৫ মিনিটের সড়ক ঘুরতে হয় প্রায় ১ ঘন্টার ও অধিক সময়ে। এতে করে প্রাণহানি ঘটার ও সম্ভবনা রয়েছে। শুধুমাত্র একটি ব্রীজের অভাবে বৃদ্ধ ব্যক্তি, গর্ভবতী মহিলা, ছোট বাচ্চা, ইমার্জেন্সী অসুস্থ্য লোকদের জীবন ঝুঁকি নিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক ঘুরতে হয় হাসপাতালে যেতে। এসব দুর্ভোগ দেখবে কে?? প্রশ্ন পৌরবাসীর। নবীগঞ্জ পৌরসভার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৩নং ওয়ার্ডের হাসপাতাল সড়কের পাশে শাখা-বরাক নদীর ওপর ব্রীজ নির্মাণ নিয়ে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে পৌরবাসীর মধ্যে। বার, বার টেন্ডার হলে ও এখন পর্যন্ত ব্রীজটি নির্মাণ করতে পারেনি পৌর কর্তৃপক্ষ। ব্রীজটি না হওয়ায় হাসপাতালে যেতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় এই এলাকার প্রায় ৫ টি গ্রামের সাধারণ লোকজনের। গ্রাম গুলো হলো, পৌর এলাকার শিবপাশা,নোয়াপাড়া,জয়নগর,আনমনু,তিমিরপুর। ওপর দিকে একই নদীতে নবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছাবির আহমেদ চৌধুরীর গ্রামের পাশে নির্মাণ হয়েছে ৪ টি ব্রীজ। এনিয়ে সুশীল সমাজে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। সাধারণ মানুষ চলাচলে এই নদীটির ওপর দীর্ঘ কয়েক বছর ছিল বাঁশের সাকোঁ। সঠিক সময় মেরামত না করায় সেই বাঁশের সাকোঁটি ও এখন নেই। শুধু পড়ে আছে তার অস্তিÍত্ব। সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, নবীগঞ্জ পৌর এলাকার চরগাও গ্রামের পৌর মেয়রের কাছের লোক আহমদ ঠাকুর রানা ও তিমিপুর গ্রামের ফুল মিয়া, নীলকন্ঠ সুত্রধরসহ একাধিক লোক এই নদীটির জায়গা তাদের ব্যক্তি মালিকানা দাবি করে আসছে। ব্রীজ নির্মাণের টেন্ডার হলেই তাদের বাঁধার মুখে পড়তে হয় সংশ্লিষ্ট টিকাদারদের। অভিযোগ আছে নামে বেনামে ভুয়া কাগজ তৈরী করে এই নদীটির জায়গা মালিকানা দাবি করছে এসব লোকজন। আহমদ ঠাকুর রানা বিএনপি নেতা হিসাবে নিজেকে পরিচয় দেন। তবে বিএনপির দলীয় কোনো কর্মসূচিতে তাকে দেখা যায়নি। অদৃশ্য এক ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চলেন তিনি। নীলকন্ঠ সুত্রধর একজন কাঠ ব্যবসায়ী। তবে তার ব্যাপক সম্পত্তি রয়েছে বলেও জানাগেছে। অপরজন ফুল মিয়া স্থানীয় জনৈক এক আওয়ামীলীগ নেতার আত্মীয়। উল্লেখিত ব্যক্তিদের বাঁধার মুখে পড়ে ৫ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ। এ যেন দেখার কেউই নেই। অভিযোগ রয়েছে এই জায়গায় পৌর মেয়র নিজেই মালিকানা দাবি করেন। মালিকানা দাবি করলে ও তিনি প্রকাশ্যে আসেন না। গ্রামবাসী বলছেন পৌর মেয়র নিজেই এ ব্রীজ নির্মাণে বাঁধার অন্যতম ব্যক্তি। গ্রামের লোকজন আরোও বলেন, মালিকানা দাবিদার লোকগুলো পৌর মেয়র ছাবির আহমেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছেন। এ বিষয়ে কথা বলেন, ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অব্দুস ছালাম। তিনি বলেন, নামে বেনামে ভুয়া কাজগ তৈরী করে একদল ভুমিখেকুরা ব্রীজ নির্মাণের বাঁধার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন কি পৌর মেয়র তিনি ও চান না এখানে ব্রীজ নির্মাণ হোক। তারপর ও পৌরবাসীর দুর্ভোগ দুর করতে চেষ্টা করছি ব্রীজটি নির্মাণ করতে। এব্যাপারে নবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছাবির আহমেদ চৌধুরী বলেন, আমরা চেষ্টা করছি এখানে ব্রীজ নির্মাণ করতে। এই জায়াগায় মালিকানা হওয়ায় আমরা বিপাকে পড়েছি। ব্রীজটি কাজের জন্য টেন্ডার হয়ে আছে। আদালতের নির্দেশে ব্রীজ হচ্ছে না। আইনি জটিলতা আছে। এসময় মেয়র নিজেও দাবি করেন এই নদীটির অংশ মালিকানা।