আগামী ২৮ নভেম্বর দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের বাকি আর মাত্র দুদিন। তাই প্রচারণাও তুঙ্গে। চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন শেষ মুহূর্তের প্রচারণায়। কর্মী-সমর্থকেরা নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে ভোটারদের মন জয় করতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভোটাররাও এখন ব্যস্ত চুলচেরা বিশ্লেষণে।
ভোটারদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, প্রতিটি ইউনিয়নে মূল লড়াই হবে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে। তবে যাদের দ্বারা জনগণের উন্নয়ন তরান্বিত হবে তাদেরকেই বেছে নেবে ভোটাররা।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রার্থীদের প্রচারণার মাইকিংয়ে মুখর দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা। কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে গণসংযোগে ব্যস্ত প্রার্থীরা। কেউ কুশল বিনিময় করছেন। কেউ দিচ্ছেন প্রতিশ্রুতি।
রায়খাইল গ্রামের গণসংযোগের সময় কথা হয় জালালপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলানা সুলাইমান হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পাচ্ছি। জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।’ তিনি ভোটারদের কেন্দ্র গিয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
লালাবাজার ইউনিয়নের কৈকুড়ি গ্রামে গণসংযোগের সময় কথা হয় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুর রহমান চৌধুরী সিফতার সঙ্গে। তিনি বলেন, ভোট সুষ্ঠু হলে বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।
আওয়ামী লীগ ছাড়াও ৫টি ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীগণ গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন সমানে। তাদের সাথে সদস্য প্রার্থীরা গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। রাত-দিন সমানে চলছে প্রচারণা।
কৈকুড়ি গ্রামের ভোটার রায়হান বলেন, ‘প্রার্থীরা তো ভোটের আগে অনেক প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ভোটের পর আর খবর থাকে না। তাই দেখেশুনে ভোট দেব, যাঁকে ভোটের পরেও পাব।’
জানা গেছে, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মহিলা সদস্য এবং সাধারণ সদস্যরা তাদের প্রতীকের সমর্থনে ইতিমধ্যে ভোট সেন্টারের এজেন্ট নিয়োগ এবং কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ভোট সংগ্রহের চেষ্টায় ব্যস্ত রয়েছেন।
উপজেলা নিবার্চন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ২৬ জন চেয়ারম্যান, ৪৬জন সংরক্ষিত সদস্য ও ১৭৪ জন সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন । ৫টি ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্য ১ লাখ ১২ হাজার ৯৬৭ জন। দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজার, জালালপুর, সিলাম, মোগলাবাজার, দাউদপুর ইউনিয়নে আগামী ২৮ নভেম্বর নির্বাচন হলেও সিটি কর্পোরেশনের সীমানা জটিলতা এবং দুটি ইউনিয়নের মামলা চলমান থাকায় অপর ৫টি ইউনিয়নের নির্বাচন হচ্ছে না।
উপজেলা সমাজসেবা ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল মুন্তাকিম জানান, আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণার শেষ সময় ২৬ নভেম্বর শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত। এর ভেতরে নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে প্রচারণা শেষ করতে হবে। নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘন কোন অবস্থায় ছাড় দেয়া হবে না।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার ¯িœগ্ধা তালুকদার জানান, ইতিমধ্যে আচরণ বিধি মানার ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অতিদ্রুত ভ্রামম্যান আদালত পরিচালনা করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১২ নভেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ৫টি ইউনিয়নের প্রার্থীরা বিরামহীন ভাবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিটি হাট-বাজার, গ্রাম-পাড়া-মহল্লা নির্বাচনের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। আগামী ২৮ তারিখের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এসব প্রচার-প্রচারণার সমাপ্তি ঘটবে। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি