যুগভেরী ডেস্ক ::: সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের আগেই আইন অমান্য করে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা কৌশলে ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাইছেন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা কৌশলে প্রচারণা ও গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, মতবিনিময় ও পথসভায় মিলিত হচ্ছেন।
ভোটারদের কাছে বিলি করছেন লিফলেট। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনেও মিছিল সহকারে নির্বাচন কার্যালয়ে আসেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। এ সময় ‘নৌকা নৌকা’ স্লোগান দেন কর্মী-সমর্থকরা। এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কোনো প্রতীক না পেলেও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ভোটারদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন নানা উন্নয়নের।
নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রচারণা চালানো আচরণবিধির লঙ্ঘন হলেও প্রার্থীরা মানছেন না। আইন লঙ্ঘন করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা আগেভাগেই জোরেশোরে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
হাটবাজার থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত সর্বত্রই নির্বাচনী আলোচনা। বাজারের চায়ের স্টল, হাট-ঘাট, মাঠ সর্বত্রই বইছে নির্বাচনী হাওয়া। ৩ জন কিংবা ৫ জন ভোটার একত্রিত হলেই শুরু হয় নির্বাচনী আলোচনা। বিভিন্ন ইউনিয়নের ভোটারদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, সবকটি ইউনিয়নের সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতোমধ্যে অনেকটাই দৃশ্যমান প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রার্থীরা এখন মৃত ব্যক্তির জানাজা, বিয়ের আসরে, সামাজিক বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানে, এলাকার খেলাধুলার অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মতৎপরতার মাধ্যমে জনগণের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করছেন। এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড থেকে শুরু করে মাদক নিয়ন্ত্রণ, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা, দলীয় কর্মকাণ্ডে গুরুত্বসহ জনগণের সুখ-দুঃখের সাথী হয়ে ইউনিয়নকে মডেল ইউনিয়নে উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা গণসংযোগ করছেন। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাচ্ছেন ও ভোটারদের কাছে বিলি করছেন লিফলেট। নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে ভোটারদের দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। এছাড়াও প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উঠান বৈঠক ও নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবজাল হোসাইন বলেন, নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধিতে উল্লেখ আছে প্রতীক বরাদ্দের আগে নির্বাচনী প্রচার চালানো যাবে না। তাই নির্বাচন কমিশনের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রচার চালাচ্ছি না।
এ ব্যাপারে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এহসানুল কবির ফেরদৌস বলেন, প্রতীক বরাদ্দের আগে নির্বাচনী প্রচার করা যাবে না। লিফলেটও বিতরণ করা যাবে না। আমিও শুনেছি কয়েকজন প্রার্থী নির্বাচনী লিফলেট বিতরণ করেছেন। যারা আচরণবিধি ভঙ্গ করছেন, খোঁজখবর নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।