• ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৮শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

মুঠোফোনে প্রেম-বিয়ের ফাঁদে মাদ্রাসা শিক্ষকের প্রতারণা

Daily Jugabheri
প্রকাশিত এপ্রিল ৯, ২০২৩
মুঠোফোনে প্রেম-বিয়ের ফাঁদে মাদ্রাসা শিক্ষকের প্রতারণা

যুগভেরী ডেস্ক ::: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারীর সঙ্গে মুঠোফোনে প্রেম, বিয়ে ও অতঃপর প্রতারণার অভিযোগ ওঠেছে। প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগী নারী এখন শরণাপন্ন হয়েছেন আদালতের।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের মিঠাভরাং গ্রামের দৌলত খানের ছেলে গোয়ালাবাজার শাহজালাল হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক হাফিজ জাবেদ আহমেদ খানের (৩৪) সাথে মুঠোফোনে পটুয়াখালী জেলার মির্জাপুর উপজেলার দক্ষিণ মসজিদ বাড়িয়া গ্রামের ফজলুল হক হাওলাদারের মেয়ে রাশেদা বেগমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৯ সালে রাশেদা বেগম সৌদি আরবে থাকা কালে মাদ্রাসা শিক্ষক দৌলত খান (প্রতারণার শিকার নারী) কাছ থেকে ভাই জাহেদ খানকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে এক লাখ টাকা নেন। এসময় মুঠোফোনে তাদের বিয়েও হয়। বিয়ের পর সৌদি আরব থেকে ছুটি নিয়ে ওই নারী স্বামীর বাড়ি জগন্নাথপুরে এসে সংসার শুরু করেন। এসময় ওই নারীর কাছ থেকে সাংসারিক কাজের কথা বলে আরও দুই লাখ টাকা দেন মাদ্রসা শিক্ষক। দুই মাস ছুটে শেষে ওই নারী আবার সৌদি আরব চলে যান। সেখানে আয় রোজকার করে বিভিন্ন সময়ে আরও সাড়ে তিন লাখ টাকা দেন। গত বছরের ৩০ মে আবার দেশে আসলে ওই নারীর কাছে জায়গা বিক্রির কথা বলে স্টাম্পে স্বাক্ষর করে আরও তিন লাখ টাকা নেন জাবেন৷

রাশেদা বেগম বলেন, ভালোবাসার নামে প্রেম ও বিয়ের অভিনয় করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করে আমার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে আরও টাকার জন্য চাপ দেয় জাবেদ। যৌতুকের টাকা না দিলে আমার ওপর নির্যাতন শুরু হয়। এক পর্যায়ে জায়গা বিক্রির নামে আমার সাথে প্রতারণা করায় আমি বিষয়টি বুঝতে পারি। এসব বিষয়ে কথা বললে আমাকে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়। নিরুপায় হয়ে আমি আমলগ্রহনকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি যৌতুক ও প্রতারণার অভিযোগে দুটি মামলা দায়ের করি।

তিনি বলেন, পটুয়াখালী থেকে সুনামগঞ্জ গিয়ে মামলার খোঁজ খবর নিতে আমি কষ্টে ভূগলেও ন্যায় বিচারের জন্য লড়াই করছি। আমার কাছে বিয়ের কাবিননামাসহ সব প্রমাণ রয়েছে।

অভিযুক্ত জাবেদ আহমেদ খান বলেন, মামলা বিচারাধীন রয়েছে তাই আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।

আশারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মিঠাভরাং গ্রামের বাসিন্দা রুবেল আহমেদ জানান, ওই নারী অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ বিষয়ে আমরা একাধিকবার সালিশ বৈঠকে বসেছিলাম। নারী প্রতারিত হওয়ার সত্যতা পাওয়ায় সালিসে কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু জাবেদ আহমেদ খান সালিসের সিদ্ধান্ত না মানায় বিষয়টি আদালতে গড়িয়েছে।

প্রতারণার শিকার নারীর আইনজীবী সুনামগঞ্জ জেলা বারের অ্যাডভোকেট আবুল মাজাদ চৌধুরী জানান, প্রতারণা ও যৌতুক দাবির অভিযোগে দায়েরকৃত মামলা দুটি তদন্তাধীন রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন