আদিবার বয়স মাত্র ৭। জীবনে এখনও তার নদী দেখার সুযোগ হয়নি। তবে মুঠোফোনে সে নদীর অপরূপ সৌন্দর্য্য দেখেছে বারবার। কল্পনার সে নদীকে সে নিজের মতো করে ফুটিয়ে তুলে প্রথম পুরস্কার জিতে সবাইকে অবাক করেছে। তুলির আঁচড়ে বাংলার চিরচেরা নদীকে না দেখেই সৃষ্টিসুখের উল্ল্যাসে যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছে, তা প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি।
আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় খুদে আঁকিয়েরা এভাবে নিজের প্রতিভা আর কল্পনার সমন্বয়ে বাংলার চিরায়ত নদীর চিত্র তুলে আনার চেষ্টা করেছেন। সারি নদী বাঁচাও আন্দোলন, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা-ধরা ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ যৌথভাবে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। শুক্রবার সকালে জৈন্তাপুর শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
ধরীত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), সারী নদী বাঁচাও আন্দোলন ও ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জৈন্তাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতেমা-তুজ যোহরা সানিয়া, অধ্যাপক মনোজ কুমার সেন, মি. প্রদিপ লানং। আব্দুল হাই আল হাদীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন একাডেমিক সুপারভাইজার আজিজুল হক খোকন, সারি নদী বাচাঁও আন্দোলনের যুগ্ম সম্পাদক সোহেল আহমদ, শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষক হোসেন মিয়া, সাইফুল ইসলাম বাবু, অমলেন্দু চক্রবর্র্তী প্রমূখ।
দু’টি বিভাগে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় ক বিভাগে নুসরাত জাহান আদিবা ও খ বিভাগে রাইয়ান মল্লিক প্রথম স্থান অর্জন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম বলেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশের প্রাণভোমরা হচ্ছে নদী। জালের মতো ছড়ানো নদীগুলোই এদেশের অস্তিত্বের প্রধান হাতিয়ার । সে নদীগুলোর প্রবাহ প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট নানা কারণে আগের মতো আর নেই । খুদে শিক্ষার্থীসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে নদীর প্রতি আরও সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, বিশে^র অনেক দেশ যেখানে নদী নেই সেখানে নদী কৃত্রিমভাবে খনন করছে অথচ আমরা প্রাকৃতিক নদীকে ক্রমশ; দখল, দূষণ আর ভরাটের এক আতুরঘরে পরিণত করছি।
বক্তারা নদীর প্রতি আর দায়িত্বশীল ও আইনের যথাযথ প্রয়োগের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি