বিনোদন ডেস্ক ::: লাল রঙের জামা পরে একটি ছবি পোস্ট করেছেন মধুমিতা। লিখেছেন, ‘লালটুকু থাকুক না!’ এরপরই তার এই ছবি নিয়ে শুরু হয় তোলপাড়।
পাখি চরিত্রটিকে বাংলাদেশের মানুষ ব্যাপকভাবে গ্রহণ করেছে, আর এ কারণেই এই ছবিতে তারা নেতিবাচক ও ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।
একজন নেটিজেন লিখেছেন, ‘বিশ্রী পোশাক গায়ে তাড়াতাড়ি ভাইরাল হওয়া যায়, নিজের আত্মসম্মান বজায় রেখে ভাইরাল হতে একটু দেরি লাগে। দেরি হলেও নিজের সম্মানটা বজায় থাকে। ’ এ ধরনের অসংখ্য বক্তব্যে পাখি ওরফে মধুমিতাকে আক্রমণ করা হয়েছে।
একজন লিখেছেন, ‘কোনো নায়কের কাছে চান্স পায় না তো! তাই আর কি খোলামেলা ড্রেস পড়ে আকর্ষণ করার বৃথা চেষ্টা!’ তবে এসব নিয়ে মাথা ঘামননি পাখি। তিনি কোনো মন্তব্যের উত্তর দেননি। মন্তব্যে সমালোচনা থাকলেও এতে ‘লাভ’ প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ৩০ হাজার ফেসবুক ব্যবহারকারী। হাসির প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ১৮ হাজার ফেসবুক ব্যবহারকারী। মধুমিতার পোস্ট করা ছবিতে এক লাখের অধিক প্রতিক্রিয়া এসেছে।
‘পাখি’ একটি সরল, হাসিখুশি, সংসারী মেয়ে। সে তার পরিবারকে খুবই ভালোবাসে। ‘অরণ্য সিংহ রায়’ একজন ব্যবসায়ী। সে ভালোবাসায় বিশ্বাস করে না। তবে সে তার ‘অনু’ দিদিকে খুব ভালোবাসে। ঘটনাচক্রে অরণ্য’র ভাইয়ের সঙ্গে পাখি’র বোনের বিয়ে হয়। এর সূত্র ধরে অরণ্য আর পাখির মধ্যে বিয়ে হয়। তাদের মধ্যে সমস্যা সৃষ্টি করার চেষ্টা করে অনু’দির বর কৃষ্ণেন্দু ও অরণ্য এর পুরোনো বান্ধবী পামেলা।
কারণ, কৃষ্ণেন্দু পাখিকে আর পামেলা অরণ্যকে পছন্দ করে। তবে পাখি আর অরণ্য সব বাধা পেরিয়ে একে অপরকে প্রচণ্ড ভালোবাসতে শুরু করে। তারা পুনর্বিবাহের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বিয়ের সময় অরণ্য’র গুলি লাগে।
‘বোঝেনা সে বোঝেনা’ নামের সিরিয়ালটি স্টার জলসায় সম্প্রচারিত জনপ্রিয় টিভি ধারাবাহিক। এই ধারাবাহিকে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন মধুমিতা সরকার। পাখি চরিত্রটি মূলত মধুমিতাই পর্দার রূপ। পাখি হিসেবে বেশ জনপ্রিয় হন তিনি। পাখির আড়ালে তার আসল নামটা মনে করতে এখনো বেশ সময় নেয় দর্শক।