যুগভেরী ডেস্ক
চিত্র নায়িকা পরীমনির সঙ্গে ডিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) গোলাম সাকলায়েন শিথিলের ‘প্রেমের সম্পর্ক’ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে পুলিশ সদর দপ্তর।
রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড প্ল্যানিং) হায়দার আলী। তিনি বলেন, পুলিশ সদর দপ্তরের একজন ডিআইজিকে প্রধান করে এই কমিটি করা হয়েছে।
তিন সদস্যের কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত ডিআইজি মিয়া মাসুদ করিমকে। অপর দুজন হলেন ডিএমপির উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন সেন্টার ডিসি হামিদা পারভিন এবং পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার (ফরেনসিক) মিসেস রুমানা আক্তার।
১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে এই কমিটিকে।
পরীমনির সঙ্গে সম্পর্কের বিষয় সামনে আসার পর শনিবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয় সাকলায়েনকে।
ডিবি থেকে সরিয়ে সাকলায়েনকে মিরপুরের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) সংযুক্ত করা হয়েছে। পিওএম পুলিশের ব্যাকআপ ফোর্স; জরুরি প্রয়োজনে তাদের ব্যবহার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বোট ক্লাব কা-ের প্রেক্ষাপটে সাকলায়েনের সঙ্গে পরিচয় হয় পরিমনীর। এরপর তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে; গড়ে উঠে অনৈতিক সম্পর্ক।
বোট ক্লাব কা-ে জাতীয় পার্টির নেতা ও ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ এবং তার সহযোগী অমির বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার মামলা করেন পরীমনি। বিমানবন্দর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা করে ডিবি গুলশান। মামলাটির সুপারভাইজার (তত্ত্বাবধায়ক) ছিলেন এডিসি সাকলায়েন।
৪ আগস্ট পরীমনির বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে র্যাব। এই অভিনেত্রীর বাসা থেকে জব্দ করা হয় বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করে গত বৃহস্পতিবার পরীমনির বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দিয়ে তাকে বনানী থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতেই তাকে আদালতে তুলে সাত দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। শুনানি শেষ তাকে জ্ঞিাসাবাদের জন্য চার দিনের রিমান্ড আদেশ দেয় আদালত।
এই মামলার তদন্তভার দেয়া হয়েছে সিআইডিতে।